আমাদের বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান এবং কৃষি নির্ভর দেশ যে দেশে প্রায় অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল জীবিকা নির্বাহের জন্য। তবে মাঝে মাঝে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকারের ঋণের প্রয়োজন হয়ে থাকে যার জন্য কৃষি লোন কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে তাদের জানা প্রয়োজন। আমাদের আজকের এই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আপনি কৃষি লোন কিভাবে পেতে পারেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা একটি বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন যাতে সহজে আপনি একটি কৃষি লোন পেতে পারেন আমাদের এই আর্টিকেল পড়ার পরে।
কৃষি লোন কিভাবে পাওয়া যায় ?
কৃষি লোন কিভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়টি আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে তা না হলে আপনি কখনোই কৃষি লোন পাবেন না। সাধারণত একজন কৃষকই শুধুমাত্র কৃষি লোন পেতে পারে তবে তার আগেও তাকে আরও বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে তবেই একমাত্র সে কৃষি লোন পাওয়ার যোগ্য হবে। সেই সকল ধাপগুলো সঠিকভাবে উত্তীর্ণ করার জন্য অবশ্যই তাকে বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে।
যার মধ্যে অন্যতম যে ধাপটি রয়েছে সেটি হচ্ছে অবশ্যই তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি থাকতে হবে যার উপর ভিত্তি করে সে ব্যাংকে সেই জমিটি বন্ধক বা জমা রেখে লোন পাবে। একজন কৃষক মূলত লোন গ্রহণ করে থাকে সেচ করার কাজে কিংবা জমির বিভিন্ন ধরনের ফসল বা বিজ কেনার কাজে। কারণ কৃষকদের মাঝে মাঝে এমন কিছু সময় চলে আসে যে সময় কৃষকের কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকে না যার মাধ্যমে সে বীজ কিনে তার জমিতে রোপণ করে আবার ফসল ফলাবে।
তাই সে সময় কৃষকের অবশ্যই জমি বন্ধক রেখে বা জমা রেখে ব্যাংকের নিকট থেকে লোন গ্রহণ করতে হয়। তবে সেই লোন পাওয়ার জন্য কৃষকের অবশ্যই বেশ কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে তাহলে যে কোন ব্যাংক কৃষককে লোন দিবে। আমরা নিচে সেই সকল ডকুমেন্টগুলোর কথা উল্লেখ করে দিলাম।
১. জাতীয় পরিচয় পত্র
২. জমির দলিল
৩. আপনার এলাকার চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর
৪. ব্যাংক একাউন্ট
৫. পাসপোর্ট সাইজের একটি ছবি
৬. লোন নেওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারণ
এই সকল ডকুমেন্টগুলো নিয়ে প্রথমেই আপনাকে যে ব্যাংকের লোন নেওয়ার আগ্রহী সেই ব্যাংকে যেতে হবে। তারপর সেখানে থাকা ম্যানেজারের সাথে কথা বলে সেখান থেকে একটি ফর্ম তুলতে হবে। সেই ফর্মের মধ্যে সঠিকভাবে সকল তথ্যগুলো এবং ছবিটি এটাচ করে আবার ব্যাংকে জমা দিতে হবে। এরপর আপনি যে পরিমাণ অর্থ ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে চান সে পরিমাণ অর্থ ব্যাংক দিতে পারলে অবশ্যই দিবে।
এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারেস্ট রেট যুক্ত করে দিবে আপনার সেই ব্যাংক। তারপরে সময় মত আপনি লোন পরিশোধ করলে আপনাকে কোন ইন্টারেস্টের রেট দিতে হবে তবে দেরি করে ফেললে ব্যাংক আপনাকে আরো সময় বাধিত করে দিবে, যার মধ্যে অবশ্যই আপনাকে লোন পরিশোধ করতে হবে।
এভাবে করে খুব সহজেই আপনি একটি কৃষি লোন নিতে পারেন। তবে এলাকার উপরিস্থ কর্মকর্তারা পরিচিত থাকলে সহজেই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করা যায়। তাদের রেফারেন্স বা পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে সহজেই আপনি লোন পেয়ে যাবেন।
কৃষি লোনের সুদের হার কত ?
সাধারণত কৃষি লোন গুলো বিভিন্ন ধরনের বা প্রকারের হয়ে থাকে। কারণ প্রতিটি কৃষক আলাদা আলাদা ফসল উৎপাদন করে কিংবা বিভিন্ন কৃষক রয়েছেন যারা বিভিন্ন ধরনের মৎস্য কিংবা পোল্ট্রি ফার্ম কিংবা গরু পালন করার জন্য কৃষি লোন গ্রহণ করে। বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ ব্যাংকেই কৃষি লোনের সুদের হার ৮%। তবে ধরণভেদে কৃষি লোনের সুদের হার আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
কৃষি লোন কত প্রকার ?
পূর্বেও বলেছি কৃষকদের বিভিন্ন আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে লোন নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে যার ফলে কৃষি লোন বেশ কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। সাধারণ ক্ষেত্রে কৃষকরা অনেক অনেক সময় ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি লোন গ্রহণ করে তবে কিছু কিছু কৃষক আলাদা আলাদা বিভিন্ন কারণে কৃষি লোন গ্রহণ করে থাকে। নিচে আমরা সকল প্রকারের আলাদা আলাদা ধরনের কৃষি লোনের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে রেখেছি।
ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি লোন
ফসল উৎপাদন করার জন্য কৃষকরা যখন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের সংকটে পড়ে যায় তখন ব্যাংকের নিকট থেকে কিংবা বিভিন্ন ধরনের সংস্থার নিকট থেকে কৃষি লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ধান গম ভুট্টা কিংবা বিভিন্ন সিগন্যাল ফসলের চাষাবাদের জন্য কৃষক কৃষি লোন গ্রহণ করতে পারে। আর এই সকল ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষকের বিভিন্ন ধরনের সার এর প্রয়োজন হয়, আবার কিছু কিছু সময় প্রয়োজন হয় বিভিন্ন কীটনাশক এবং যন্ত্রপাতির তাছাড়াও বীজের প্রয়োজন হয় মাঝে মাঝে।
আর এই সকল সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্যই কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি লোন নিতে হয়। সাধারণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার ২০ হাজার টাকা থেকে এ ধরনের কৃষির লোন দিয়ে থাকে। যার ইন্টারেস্ট রেট হয়ে থাকে ৫% থেকে ৮% পর্যন্ত। যেকোনো ব্যাংক থেকে যদি আপনি এই ধরনের লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ৮% সুদের হার দিতে হবে।
আরও পড়ুন>>>>>কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন<<<<<
গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি পালনের জন্য কৃষি লোন
বেশকিছু গ্রামীন কৃষক নিজেদের বাসা বাড়িতে কিংবা নিজেদের ফ্রামের মধ্যে গবাদি পশু অথবা হাঁস-মুরগির ফার্ম তৈরি করার চিন্তা করে। তারাও চাইলে সরকারি কিংবা বেসরকারি মাধ্যমে খুব সহজেই একটি কৃষি লোন গ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে কৃষি লোনের পরিমাণটা একটু বেশি হবে। সর্বোচ্চ চাইলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং সুদের হার থাকবে ৮%। সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো আপনি ব্যাংক অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের লোনগুলো গ্রহণ করতে পারেন।
তবে গবাদি পশু অথবা হাঁস-মুরগি পালনের জন্য যদি আপনি লোন গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার একটি ফার্ম থাকতে হবে। যদি না থাকে সেক্ষেত্রে নিজের বাড়িতে পালনের জন্য অবশ্য একটি ভালো জায়গা থাকতে হবে যা আপনাকে দেখাতে হবে না দেখাতে পারলে আপনি লোন পাবেন না। তাই অবশ্যই এ ধরনের লোন পাওয়ার পূর্বে নিজের বাসাতে জায়গা অথবা একটি প্রাণ তৈরি করার ব্যবস্থা করবেন।
মৎস্য চাষের জন্য কৃষি লোন
অনেকেই মৎস্য খামারি অথবা হ্যাচারি রয়েছেন যারা বিভিন্ন সময় অর্থের সংকটে পড়ে মাছের পোনা অথবা খাদ্য ক্রয় করতে পারে না। সেক্ষেত্রে ক্ষুদ্র পরিসরে কিংবা বড় পরিসরে মৎস্য চাষের জন্য কৃষি লোন গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও সরাসরি সুযোগ সুবিধা দেওয়া রয়েছে। আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের পক্ষ থেকেও এই ধরনের কৃষি লোন গ্রহণ করা হয়। ৮ পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট রেট এর সহজেই মৎস্য চাষের জন্য কৃষি লোন পাওয়া যায়।
কৃষি সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য কৃষি লোন
কৃষিকাজ করার জন্য কৃষকদের বিভিন্ন সময় নানান সরঞ্জাম কিংবা নানা ধরনের কীটনাশক ক্রয় করতে হয়। বিভিন্ন সময়ে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকারের লাঙ্গল কিংবা বিভিন্ন ধরনের অনেক ব্যয়বহুল সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। যেমন ট্রাক্টর। এ ধরনের সরঞ্জাম ক্রয় করতে গেলে বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন হয় যা সকল কৃষকের নিকট থাকে না। সেসময় সরাসরি যেকোনো ব্যাংকের নিকট থেকে অথবা যে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে আপনি লোন গ্রহণ করতে পারবেন যারা লোন দিয়ে থাকে কৃষকদের।
এ সকল লোনগুলোর পরিমাণ একটুখানি বেশি হয় এবং লোনের পরিষদের পরিসীমাও একটু বেশি হয়। সাধারণ ক্ষেত্রে বারো মাসের জন্য আপনি ২ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারেন। কিংবা আপনি যদি চান একটু বেশি সময় অর্থাৎ দুই বছর বা ৫ বছরের জন্যও লোন নিতে পারবেন। এবং ধীরে ধীরে আপনাকে ইন্টারেস্ট রেট ৮ পার্সেন্ট দিতে হবে।
খামার স্থাপনের জন্য কৃষি লোন
যারা একটি নতুন ভাবে খামার তৈরি করার জন্য ঋণ গ্রহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনারাও চাইলে ঋণ গ্রহণ করার জন্য আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশের যেকোন কৃষি লোন দেওয়া ব্যাংকের কাছে। এক্ষেত্রে আপনার খামারে আপনি কি ধরনের পশু পাখি পালন করতে চাচ্ছেন এবং সেই খামারটির দৈর্ঘ্য কতটুকু হবে কিংবা খামারটি কি ধরনের বাকি জাতের পশু পালন করা হবে এবং সেখানে কত টাকা খরচ হতে পারে সে বিষয় সম্পর্কে আপনাকে প্রোপার একটি প্ল্যান ব্যাংকের নিকট জমা দিতে হবে।
তারপরে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেই ব্যাংকের নিকট থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন যার সময়সীমা থাকবে বারো মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। পরে আপনি প্রফিটের টাকা থেকে ধীরে ধীরে আপনি সেই খামার স্থাপনের জন্য কৃষি লোনটি পরিশোধ করে দিতে পারবেন। তবে বেশি ভালো হয় যদি আপনি বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন কিংবা সরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এক্ষেত্রে সুদের হার একটু কম থাকে যাতে করে আপনি খুব সহজে লাভবান হতে পারেন ব্যবসা করে।
বাংলাদেশের প্রায় অনেকগুলো ব্যাংক কৃষি লোন দিয়ে থাকে। সেসকল ব্যাংকে কৃষি লোনার জন্য আলাদা আলাদা ইন্টারেস্ট রেট থাকে। তবে আপনাদের অবশ্যই এমন কোন ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিতে হবে যে ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিলে আপনাকে কম ইন্টারেস্ট বা সুদ প্রদান করতে হবে। আমরা আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের যেসকল ব্যাংকগুলোর কৃষি লোন প্রদান করে থাকে সেই সকল ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো নিচে উল্লেখ করেছি।
আরও পড়ুন>>>>স্টুডেন্ট লোন ইসলামী ব্যাংক<<<<
কৃষি লোন সোনালী ব্যাংক
বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যাংকের নাম হচ্ছে সোনালী ব্যাংক যারা কৃষি লোন প্রদান করে থাকে কৃষকদের। এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চাষাবাদের ক্ষেত্রে আলাদা ধরনের। দীর্ঘমেয়াদী হলে বেশি পরিমাণ সুদ প্রদান করতে হবে এবং যদি কোন মেয়াদি হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে কোন সুদ প্রদান করতে হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি ডাল কিংবা মসলা জাতীয় যেকোনো ধরনের আপনি সবজি উৎপাদন করতে চান সেক্ষেত্রে বার্ষিক চার পার্সেন্ট সুদ দিতে হবে। তবে যদি আপনি অন্য ধরনের যে কোন কিছু চাষ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ১০% সুদ দিতে হবে।
এই মতামতের উপর যদি আপনার কোন সমস্যা না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে একটি কৃষি লোন গ্রহণ করতে পারেন। সোনালী ব্যাংক থেকে কৃষি লোন গ্রহণ করার জন্য শুধুমাত্র বেশ কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে যা সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছিলাম। সেই সকল ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আপনি সোনালী ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চ এ গিয়ে সহজেই লোন নিতে পারবেন। আর লোন পরিশোধ করতে পারবেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এবং নির্ধারিত সুদের হার মেইনটেইন করে লোন পরিশোধ করতে হবে।
কৃষি লোন কমিউনিটি ব্যাংক
কৃষকদের লোন পাওয়ার জন্য বিশ্বস্ত একটি ব্যাংকের নাম হচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক। বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যাংক হওয়ার কারণে এই ব্যাংক থেকে খুব সহজেই কৃষকরা লোন গ্রহণ করতে পারে। যেহেতু কৃষকদের জন্য এই ব্যাংকে রয়েছে আলাদা ধরনের লোনের ব্যবস্থা তাই আলাদা ধরনের সুদের হার রয়েছে এখানে। ১০% ইন্টারেস্ট রেট এর মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষকদেরকে লোন দিয়ে থাকে। আর কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংক যার ফলে এখানে ইন্টারেস্ট রেট একটুখানি বেশি রয়েছে সরকারি ব্যাংকের তুলনায়। তবে কৃষকরা অবশ্যই অনেক বেশি সুবিধা পাবে যদি এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে। কারণ এটি একটি উন্নত মানের ব্যাংক এবং এই ব্যাংকে অনেক বেশি সময়ের জন্য আপনি কৃষি লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
অন্যান্য সকল ব্যাংকের মতোই ঠিক একই প্রসেসে আপনি খুব সহজে আপনার সকল তথ্য এবং ডকুমেন্টগুলো জমা দেওয়ার মাধ্যমে একটি কৃষি লোন গ্রহণ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ২০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে আপনার জমা দেওয়া দলিলের মূলের উপর ভিত্তি করে আপনাকে লোন দেওয়া হবে। এবং সেই লোন পরিশোধ করার জন্য আপনি যে সময় বরাদ্দ করবেন সেই সময়ের উপর ভিত্তি করে বাৎসরিক একটি ইন্টারেস্ট রেট ব্যাংক গ্রহণ করবে।
ডাচ বাংলা ব্যাংক কৃষি লোন
বাংলাদেশের অন্যতম এবং অনেক বেশি ব্যবহৃত একটি বেসরকারি ব্যাংকের নাম হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংক কৃষি লোন গ্রহণ করা অত্যন্ত সুবিধা জনক এবং সহজ। যে কোন কৃষক খুব সহজেই এ ব্যাংকের কাছ থেকে লোন গ্রহণ করতে পারে। শুধুমাত্র ৮ পার্সেন্ট মুনাফা দেওয়ার মাধ্যমে।
কৃষি লোনের সুবিধা
কৃষকদের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে সঠিক সময়ে টাকা। সঠিক সময়ে টাকা না থাকলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করা হয়ে ওঠে না যার ফলে কৃষকদের বিভিন্ন সময় দরকারের টাকা প্রয়োজন হয়। আর সে সময় কৃষকদের লোন নেওয়ার প্রয়োজন হয় যা কিনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি লোন খুবই কম সুদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়ে থাকে। কোন ধরনের বিশেষ শর্ত ছাড়াই শুধুমাত্র জমির কাগজপত্র কিংবা দলিল দিলেই কৃষকরা লোন পেয়ে যায়।
আর কৃষকরা লোন নেওয়ার মাধ্যমে সহজেই ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পারে। এর কাছে যদি পরিমাণ এর চেয়ে কম টাকা থাকে তারা চাইলে লোন গ্রহণ করে তার থেকে বেশি পরিমাণ তারা ফসল উৎপাদন করতে পারবে আধুনিক জিনিসপত্র এবং বিষ ব্যবহার করে। ফসলের মানব বৃদ্ধি পাবে যদি তারা কৃষি লোন গ্রহণ করে। আর কৃষি লোনের মাধ্যমে একজন কৃষক সহজেই লাভবান হতে পারবে, যদি সঠিকভাবে সেই টাকা সে ব্যবহার করতে পারে।
কৃষি লোনের অসুবিধা
অনেক কিছু বিবেচনা করলে কৃষি লোন আপনার কাছে সঠিক মনে হলেও বেশ কিছু দিক বিবেচনা করলে আবার আপনার কাছেই মনে হবে কৃষি লোন হয়তো বা কৃষকদের জন্য একটি অভিশাপের মত। সরকারিভাবে কৃষি লোন গ্রহণ করলে আপনাকে বাংলাদেশ সরকার কোন সুদের হার দিলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক আপনাকে বেশি সুদ দাবি করবে। যার ফলে বিভিন্ন সময় ফসল থেকে বেশি লাভ না হলে সুদ দেওয়া কিংবা মূল টাকাটা দেওয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে। আর এই সময় ব্যাংকরা কৃষকের উপর অনেক বেশি পরিমাণ চাপ প্রদান করে।
কৃষকদের মধ্যে মাঝে মাঝে কিস্তি পরিষদের ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের চাপের সৃষ্টি হয়ে যায় যার ফলে তাদের মানসিকতা অনেক বেশি খারাপ থাকে। আর অনেক ক্ষেত্রেই কৃষি লোন একটি বোঝা হতে পারে কৃষকদের জন্য। সেই জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে এই কথাটি মাথায় রাখতে হবে যে যদি আপনি একটি কৃষি লোন গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক সময় কিস্তি প্রদান করতে হবে। এছাড়া কিছু কিছু ব্যাংক কৃষি লোন প্রদান করার ক্ষেত্রে কিছু কঠিন সর্ত দিতে পারে, যাকি শব্দের জন্য হয়ে উঠতে পারে একটি অভিশাপ। এছাড়া সঠিক সময়ে অর্থ প্রদান না করতে পারলে সম্পত্তি নিলামি করা হতে পারে। এ ধরনের বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে কৃষি লোন।
কৃষি লোনের সুদের হার কত ?
বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ ব্যাংকেই কৃষি লোনের সুদের হার ৮%
কৃষি লোনের সুবিধা কি ?
কৃষকদের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে সঠিক সময়ে টাকা পাওয়া
কৃষি লোনের অসুবিধা কি ?
ব্যাংকরা কৃষকের উপর অনেক বেশি পরিমাণ চাপ প্রদান করে
আমাদের শেষ কথা
আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি খুব সহজেই একটি কৃষি লোন পেয়ে যাবেন, যদি আপনি প্রসেসগুলো সঠিকভাবে ফলো করতে পারেন। যদি কোন জায়গাতে আপনার সমস্যা মনে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনটি আপনাদের জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া নিয়মিত এই ধরনের তথ্যবহুল বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটিতে চোখ রাখুন।