ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা জানেন নি? ব্র্যাক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে। ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধার কারণে ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রতিনিয়ত আর্থিকভাবে যেমন সচ্ছল হচ্ছে তেমনি ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকে আস্থার প্রতীকে রূপান্তরিত হচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কথা চিন্তা করে সর্বনিম্ন ৯% শতাংশ সুদে গ্রাহকদের লোন প্রদান করছে।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধার পাশাপাশি ব্র্যাক ব্যাংক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাবো। সেহেতু এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তবে প্রথমে আমাদের ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড অর্থাৎ ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে অন্যতম একটি ব্যাংক। ২০০১ সালে ব্র্যাক ব্যাংক বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তারা গ্রাহকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট। এ কারণে ২০০৯ সালে সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক “বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯” পদকটি অর্জন করে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে উদ্দেশ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়ন সাধন করা। বর্তমান সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক ৭টির অধিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে প্রধান কার্যক্রম সমূহ হচ্ছে:
- এজেন্ট ব্যাংকিং
- এটিএম পরিষেবা
- কর্পোরেট পরিষেবা
- বাণিজ্যিক ব্যাংকিং
- কার্ড পরিষেবা অর্থাৎ ক্রেডিট ও ডেবিট
- এসএমই ব্যাংকিং
- কনয্যুমার লোন
২০২২ সালের ব্র্যাক ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের সারাদেশে ১৯৬ টি শাখা, ৩০টি উপশাখা, ১০৯৪টি এজেন্ট আউটলেট, ৪৪৭ টি এটিএম বুথ, এসএমই ইউনিট অফিস ৪৫৭ টি ও ১৮০০টি রেমিটেন্সের ডেলিভারি পয়েন্ট রয়েছ। এছাড়া ২০২৪ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংকের মর্যাদা লাভ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড অর্থাৎ ব্রাক ব্যাংক পিএলসি। গত ২৩ বছরে গ্রাহকের আস্থার প্রতি হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক দেশে-বিদেশে ব্যাপক মর্যাদা সম্পন্ন ও সুপরিচিত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। এবার তবে ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা কি কি ?
কোন ব্যক্তি যদি ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থেকে থাকে তাহলে উক্ত গ্রাহক ব্র্যাক ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সুবিধা লাভ করতে পারবেন খুব সহজেই। ব্রাক ব্যাংক থেকে যদি কোন গ্রাহক লোন নিয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা লাভ করা যায়। তাহলে নিচের আলোচনা থেকে জেনে নেয়া যাক ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা কি কি প্রদান করে থাকে:-
- গ্রাহক যদি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করে থাকেন তাহলে গ্রাহককে অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় সুদের হার কম প্রদান করতে হবে। ৯ শতাংশ সুদের হারে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করা যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা লোন পরিশোধ জন্য ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ সহজ অর্থে, ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকেরা ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের লোন পরিশোধ করার সময় পেয়ে থাকেন।
- ব্র্যাক ব্যাংক তার গ্রাহকদের ডিজিটাল লোন প্রদান করে থাকে। দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ডিজিটাল লোনের আবেদন করে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে খুব সহজেই লোন সুবিধা পাওয়া যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংক সম্পর্কিত কোন লোন সমস্যা দেখা দিলে খুব দ্রুত ব্র্যাক ব্যাংকের উক্ত শাখার দায়িত্বরত ও কর্মকর্তাগণ সমস্যার সমাধান করে থাকেন।
- ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইলে তেমন কঠিন কোন শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন হয় না।
- ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকেরা ১ লক্ষ টাকা হতে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে অধিক পরিমাণের লোন সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের বিশেষ শর্তাবলি অনুসরণ করতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা লাভ করা যায়, এ সকল লোনের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোন সমূহ হচ্ছে, ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন, ব্র্যাক ব্যাংক গৃহঋণ, ব্র্যাক ব্যাংক গাড়ির ঋণ,ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন। নিম্নে এ সকল লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আকারে আলোচনা করা হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন হিসেবে একজন গ্রাহক ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করতে পারেন। উক্ত পার্সোনাল লোন পরিশোধের জন্য গ্রাহক ১ বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করার জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বনিম্ন বেতন ২৫,০০০ টাকা ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের সর্বনিম্ন বেতন ৩০,০০০ টাকা হতে হবে। এছাড়া যে সকল ব্যক্তিরা ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করতে পারবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন; স্থানীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যাক ব্যাংকের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মরত চাকুরিজীবী।
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোনের জন্য অত্যাবশ্যকীয়
- ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণের জন্য অবশ্যই গ্রাহকের অবশ্যই কমপক্ষে ৬ মাসের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোনের জন্য কোন জামানতের প্রয়োজন নেই; তবে শুধুমাত্র পার্সোনাল গ্যারান্টার এর প্রয়োজন হয়।
ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন গ্রহণের জন্য আরও কিছু বিশেষ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।এ সকল কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও পার্সোনাল লোনের একজন গ্যারান্টার হিসেবে যিনি থাকবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- গ্রাহকের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও গ্যারান্টারের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- গ্রাহক চাকুরীজীবী ও তার আয়ের প্রমাণের জন্য গ্রাহকের স্যালারি সার্টিফিকেট /পে স্লিপ এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- লোনের পরিমাণ যদি ৫ লক্ষ টাকার অধিক হয় এক্ষেত্রে ই-টিন অর্থাৎ টিন সার্টিফিকেট।
- গ্যারেন্টেরের যদি কোন ভিজিটিং কার্ড থাকে সেক্ষেত্রে ভিসিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে।
এছাড়া বিশেষ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরো আরও কিছু ও কাগজপত্র যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোনের ইন্টারেস্ট রেট, ফিস ও চার্জ সমূহ
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে পার্সোনাল লোন একজন গ্রাহক গ্রহণ করতে পারবেন। তবে লোনের প্রসেসিং ফি লোনের পরিমাণ এর ০.৫ শতাংশ+১৫% ভ্যাট, ষ্ট্যাম্প চার্জ; প্রকৃত খরচ হিসেবে + ১৫% ভ্যাট ও সি আইবি চার্জ ; প্রকৃত খরচ হিসেবে + ১৫% ভ্যাট।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে
পার্সোনাল লোনের আবেদনের প্রেক্ষিতে একজন গ্রাহক টপ-আপ এর সুবিধা, লোন টেক ওভারের সুবিধা ও পার্সোনাল লোন ক্রেডিট কার্ড প্যাকেজ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ব্র্যাক ব্যাংক গৃহঋণ বা হোম লোন
ব্র্যাক ব্যাংক সম্পূর্ণ বাড়ি,ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। তেমনি বাড়ি তৈরি করার জন্য কিংবা পুরাতন বাড়ির সংস্কার করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংক গৃহঋণ (হোম লোন) প্রদান করে থাকে। ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী সকল ধরনের গ্রাহকেরা ব্র্যাক ব্যাংক থেকে গৃহঋণ নিতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংক থেকে হোম লোন বা গৃহঋণের জন্য গ্রাহক সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারেন ও গৃহঋণের সুদের হার ১১ শতাংশ। তবে গ্রাহক গৃহ ঋণ পরিশোধ করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছর সময় পাবেন।
গৃহঋণের জন্য জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- গ্রাহকের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন দুই কপি ছবি।
- ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি (ঠিকানা ভেরিফিকেশনের জন্য)
- ব্যাংকের লেনদেনের গত ১২ মাসের স্টেটমেন্ট।
- সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার রসিদ।
- চাকরিজীবীদের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে এর মধ্যে রয়েছে ; স্যালারি সার্টিফিকেট, ভিজিটিং কার্ড (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),পে স্লিপ বা বেতন ভাতা স্লিপ (সর্বশেষ ৩ মাসের)।
- ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তার মধ্যে রয়েছে; ট্রেড লাইসেন্স (অবশ্যই শেষ তিন বছরের হতে হবে),ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামে যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার ১ বছরের স্টেটমেন্ট,যদি ব্যবসা অংশীদারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয় সেক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড অংশীদারি চুক্তিপত্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনুমোদন এর কপি।
- গ্রাহক যদি স্ব-নির্ভর পেশাদার হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে; সিলসহ একটি প্যাডের আয়ের ঘোষণা, পেশাদারী ডিগ্রী সনদ, নিয়ে পেশাদার সমিতির সদস্য পদ সনদপত্র বা সার্টিফিকেট।
- গ্রাহক যদি জমির মালিক হয়ে থাকেন এক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে; জমির মালিকানা দলিল, বাড়ি ভাড়ার ঘোষণাপত্র, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপএ ও ইউ টেলিটি বিল এর ফটোকপি।
- জমির মালিকানার দলিল ও জমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র।
- বাড়ি নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ,পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অনুমোদিত নকশার ফটোকপি।
- জেলা পর্যায়ে বা সাব রেজিস্ট্রি অফিস কর্তৃক ১২ বছরের দায়মুক্ত সনদের কপি।
এছাড়া আরো কোন ডকুমেন্ট যদি প্রয়োজন হয় এ ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের উক্ত শাখার কর্মকর্তারা আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে
গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা গ্রহণ করে একজন নাগরিক তার স্বপ্নের বাড়ি বাস্তবে রূপান্তরিত করার সুযোগ লাভ করে ফলে তার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়।
ব্র্যাক ব্যাংক গাড়ি লোন সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংক অন্য সকল লোনের মতো গাড়ি ক্রয় করার জন্য লোন প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে গাড়ির মোট দামের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক লোন প্রদান করে থাকে। তবে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে গাড়ি ক্রয়ের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা লোন নেওয়া যাবে। তবে গ্রাহক ব্র্যাক ব্যাংকের গাড়ির লোন পরিশোধ করার জন্য ১২ মাস থেকে ৬০ মাস সময় পাবেন। তবে এই লোন শুধুমাত্র নতুন ও রিকন্ডিশন্ড গাড়ি করার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে গাড়ির লোন কারা নিতে পারবেন ?
- ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, স্ব-নির্ভর পেশাদার ও জমির মালিকেরা গাড়ির লোন নিতে পারবেন।
- ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ২৫ বছর হতে হবে এবং লোনার জন্য সর্বোচ্চ বয়স আর ৬৫ বছরের কম হতে হবে লোনের মেয়াদ পূর্তির জন্য।
- মাসিক বেতনভুক্ত চাকরিজীবীদের প্রতি মাসে ন্যূনতম ২৫,০০০ টাকা আয় থাকতে হবে ও যারা চাকরি করেন না তাদের প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩৫,০০০ হাজার টাকা আয় থাকতে হবে।
- চাকরির মেয়াদ নিশ্চিত হওয়া ও ১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাহক এই লোন সুবিধা পাবেন।
- ব্যবসা করছেন তাদের ব্যবসার সময় ন্যূনতম ৩ বছর ও কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক গাড়ি লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ:
ব্র্যাক ব্যাংক থেকে গাড়ি লোন নিতে হলে আরও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হয় এ সকল কাগজ পএের মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকের সত্যায়িত জাতীয় পরিচয় পএ ও গ্যারেন্টারের সত্যায়িত জাতীয় পরিচয় পএ।
- গ্রাহকের পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি ও গ্যারেন্টারের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ব্যাংক একাউন্টের সর্বশেষ ১ বছরের স্টেটমেন্ট।
- গাড়ির মূল্য
- আবেদনকারীর ভিজিটিং কার্ড বা বিজনেস কার্ড।
- চাকুরিজীবী হলে প্রমাণপএ সহ পরিচিতি পএ।
- ব্যবসায়ী হলে যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে ; ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি, ব্যবসায়ী একাউন্টের ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট,অংশীদারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে রেজিস্টার্ড অংশীদারি চুক্তিপত্র,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্য সকল প্রয়োজনীয় অনুমোদনের প্রমাণ পত্র।
- স্বনির্ভর পেশাদার হলে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে পেশাগত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে প্রদান করতে হবে।
- আবেদন করে যদি জমির মালিক হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার জমির মালিকানার দলিল, বাড়ি ভাড়ার চুক্তি, বাড়ি ভাড়ার ঘোষণাপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র প্রদান করতে হবে।
এ সকল কাগজপত্র ছাড়া যদি অন্য কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের উক্ত শাখার দায়িত কর্মকর্তারা আপনাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা গাড়ির লোনের জন্য
প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে তারা একটি গাড়ি ক্রয় করবে। তবে মাসিক ভালো আয় থাকলেও গাড়ি ক্রয় না করতে পারেন ১ জন গ্রাহক, সেক্ষেত্রে তাদের পাশে ব্র্যাক ব্যাংক আস্থার প্রতীক হয়ে গাড়ির লোনের সুবিধা প্রদান করে ও লোন পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় ও গাড়ির মোট মূল্যের ৫০% তবে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকেন।
ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংক শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছে সর্বদা এক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য। ব্রাক ব্যাংক থেকে একজন শিক্ষার্থী আগামী পার্সোনাল লোন এর মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
তবে একজন শিক্ষার্থী তার টিউশন ফি এর সর্বোচ্চ ১৩০% পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি যদি ১০ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে উক্ত শিক্ষার্থী ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। তবে উক্ত শিক্ষার্থীকে (অভিভাবকদের) অবশ্যই ৫ বছরের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে। লোনের আবেদনের ক্ষেত্রে মাসিক আয় অবশ্যই কমপক্ষে ২০,০০০ টাকা হতে হবে তবে এটি শর্ত প্রযোজ্য।
আগামী পার্সোনাল লোন এর জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এর মধ্যে রয়েছে:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও গ্যারান্টারের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ২ কপি ও গ্যারেন্টের ক্ষেত্রে ১ কপি।
- ৫ লক্ষ টাকার অধিক লোনের ক্ষেত্রে রিটার্নের কপি বা টিন সার্টিফিকেটের এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- মাসিক আয় প্রমাণের জন্য স্যালারি সার্টিফিকেট বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
- ব্যাংক একাউন্টের বিগত ৬ মাস বা ১২ মাসের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
- গ্যারেন্টেরের যদি ভিজিটিং কার্ড থাকলে প্রদান করতে হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা স্টুডেন্ট লোনের ক্ষেএে
বাংলাদেশ অধিকাংশ মেধাবী শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে দেশে কিংবা বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারেন না। তবে এ সকল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের একটি বিশেষ লোন নিতে পারবেন যা “আগামী পার্সোনাল লোন” নামে সর্বাধিক পরিচিত।
ব্র্যাক ব্যাংক লোনের সুদের হার
যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে অবশ্যই ব্যাংককে সুদ প্রদান করতে হবে। তবে সকল ব্যাংকের সুদের হার একই রকম হয়ে থাকে না। ব্র্যাক ব্যাংকের লোনের সুদের হার সকল ব্যাংক থেকে তুলনামূলকভাবে কম। তবে লোনের প্রকার ও লোনের ধরণের উপর নির্ভর করে ব্র্যাক ব্যাংকের লোনের সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। যেমন:-
- ব্র্যাক ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে ৯% সুদ গ্রহণ করে থাকে।
- ব্র্যাক ব্যাংক গাড়ি লোন এর ক্ষেত্রে ১০% সুদ গ্রহণ করে থাকে।
- হোম লোনের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ১০% পর্যন্ত সুদ গ্রহণ করে থাকে।
- ব্যবসায়ীদের লোন প্রদান করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সুূদ গ্রহণ করে থাকে।
ব্র্যাক ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনি ২টি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। ২টি পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে। সরাসরি শাখা অফিসে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করা ও অনলাইনের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করা। তবে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সবচেয়ে উত্তম বিবেচনা করা হয়। ব্র্যাক ব্যাংকের একাউন্ট তৈরি করার জন্য যে সকল নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। তা হলো:
- ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা অফিসে গিয়ে আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান উক্ত ক্যাটাগরির ফরম বাছাই করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
- আপনার সকল তথ্য আবেদনপত্রের সাথে সাদৃশ্য ও বৈধ কিনা যাচাই করবেন ব্যাংক কর্মকর্তা।
- পরবর্তী ধাপে ব্যাংক কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহককে স্বাক্ষর ও ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে।
- নতুন ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য প্রাথমিকভাবে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা জমা রাখতে হয় ব্যাংক একাউন্টে। তবে ব্রাক ব্যাংকের স্টুডেন্ট একাউন্টের জন্য সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা জমা রাখতে হয়।
- প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত অর্থ জমা প্রদান করার পর সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্যাংক একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। ব্যাংক একাউন্টের পাশাপাশি চেকবই, ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর আবেদন করার কিছুদিনের মধ্যে চেকবই ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যাবেন।
অন্যান্য সকল ব্যাংকের মতোই ব্র্যাক ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আরও কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যেমন:
- আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
- সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র ও সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি।
- পূর্বে ব্র্যাক ব্যাংকে একাউন্ট আছে এমন একজন একাউন্ট কারীর ও ব্যাংক একাউন্ট রেফারেন্স হিসেবে প্রদান করতে হবে।
- প্রাথমিক ডিপোজিট হিসাবে ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য ৫০০ টাকা জমা রাখতে হবে। তবে স্টুডেন্ট একাউন্ট এর ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা জমা রাখতে হবে সর্বনিম্ন।
- একাউন্টকারী যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকে তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- একাউন্ট কারী যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- একাউন্ট যদি ট্রাস্ট এর জন্য করা হয় সে ক্ষেত্রে ট্রাস্টের দলিল প্রয়োজন হবে।
ব্র্যাক ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট
বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের ন্যায় ব্র্যাক ব্যাংকে স্টুডেন্টদের একাউন্ট তৈরি করার সুবিধা রয়েছে। যে কোন শিক্ষার্থী ব্র্যাক ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করার মাধ্যমে প্রতি মাসে অর্থ সঞ্চয় করে বাৎসরিক তিন শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশ মুনাফা লাভ করতে পারবেন। এছাড়া ২৫ বছর পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী এখনো চার্জ ছাড়াই বিনামূল্যে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংকে রেস্টুরেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে যে সকল তথ্যের প্রয়োজন হয় এর মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ /পাসপোর্ট /জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- শিক্ষার্থীর প্রমাণস্বরূপ সর্বশেষ সংগ্রহকৃত এডমিট কার্ড।
- শিক্ষার্থী বর্তমানে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত রয়েছেন উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রধান কৃত প্রশংসাপত্র বা প্রত্যয়ন পত্র।
- শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি।
- নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা ছবি।
- ইউটিলিটি বিল এর ফটোকপি।
- আবেদনকারীর আয়ের উৎস।
- অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি ও ছবি।
এ সকল তথ্য ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া যদি অন্য কোন তথ্য ও কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে উক্ত শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আপনাকে এ বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট
ব্র্যাক ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাদের একাউন্টে নিরাপদে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন ও নির্দিষ্ট সময় পরপর মুনাফা লাভ করতে পারবেন। ব্র্যাক ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের আরও কিছু সুবিধা রয়েছে যার কারণে ব্যাংকটির সেভিংস অ্যাকাউন্ট আরও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেমন:
- অন্য সকল ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা প্রদান করে থাকে।
- খুব সহজেই অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায় প্রয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের যেকোনো শাখা ও এটিএম বুথ থেকে উক্ত সেবা লাভ করা যায়।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সাথে সাথে একাউন্ট কারীকে একটি ডেবিট কার্ড প্রদান করা হয় যা বিভিন্ন সময়ে বিনামূল্যে ব্যবহার করার সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
- ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে দেশের যেকোনো ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম নেটওয়ার্ক কিংবা অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নির্ধারিত চার্জ প্রদান করে যেকোনো সময় অর্থ উত্তোলন করা যায়।
- ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাপস ব্যবহার করে খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা যায় ও বিল পেমেন্টে টাকা ট্রান্সফার ও ব্যালেন্স চেক করার সুবিধা রয়েছে।
- ব্র্যাক ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন পেমেন্ট করে আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক পাওয়া যায়।
Brac Bank multi currency debit card
ব্র্যাক ব্যাংকের অন্যতম একটি ডেবিট কার্ড হচ্ছে মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড। ব্র্যাক ব্যাংকের কোন গ্রাহকের যদি পাসপোর্ট থেকে থাকে তাহলে উক্ত গ্রাহক পাসপোর্ট এর মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় ধরেই ব্র্যাক ব্যাংক মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ড এর উপর বিভিন্ন ধরনের অফার প্রদান করে থাকে। মাল্টি কারেন্সি সুবিধা সমূহ হলো:
- গ্রাহকের প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন কারেন্সিতে ব্রাঞ্চ থেকে পাসপোর্ট এর মাধ্যমে এনডোর্স করা যায়।
- বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোনো VISA এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য ২৫০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে (দেশের মধ্যে নয়)।
- দেশের বাইরে ডাইনিং ও শপিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
- দেশে বসে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্লাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন নেওয়া যায়।
- দেশের মধ্যে কিংবা বিদেশে প্রতি ১০০ টাকা লেনদেন করলে ১ রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাওয়া যায়।
- এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক মাল্টি কারেন্সি ডেবিট কার্ডের ওপর বিভিন্ন ধরনের অফার প্রদান করে থাকে। এ সকল অফার থেকে একজন গ্রাহক যেমন রিওয়ার্ড পয়েন্টস এর পাশাপাশি ক্যাশব্যাক সুবিধা লাভ করে থাকেন।
ব্র্যাক ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড
ব্র্যাক ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড বলতে এমন এক ধরনের ডেবিট কার্ড কে বুঝায় যা স্থানীয় একটি মুদ্রায় এবং আন্তর্জাতিক একটি মুদ্রায় ব্যবহার করা যায়। শিকার ব্যবহার করে টাকার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করা খুব সহজ। বিশেষ করে যারা অনলাইন থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট ক্রয় করে থাকেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে থাকেন তাদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আরও কার্যকর একটি কার্ড। তবে ব্র্যাক ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন:
- দুইটি মুদ্রায় খুব সহজে লেনদেন করা যায়। যেমন বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রা টাকা ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলার (USD)।
- আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইটে পেমেন্ট করার সুবিধা হয়েছে।
- বিশ্বব্যাপী যেকোনো Visa এটিএম ও POS টার্মিনালে ব্যবহার করা যায়।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার নিয়ম
সাম্প্রতিক সময়ে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ঋণ সুবিধা প্রদান করে বিকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদিও এই ঋণ সুবিধাটি বিকাশ সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করছে। তবে বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যদি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা না হয়। এক্ষেত্রে বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য আপনি একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমত বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এক্ষেত্রে আপনি ৩০ দিন থেকে ৬০ দিন একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।যেমন:
- বিকাশ একাউন্টের নমিনির তথ্য আপডেট করুন।
- আপনার তথ্য হালনাগাদ করুন।
- বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে একটি DPS করুন ও নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করুন।
- প্রতিমাসে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক টু বিকাশ ও বিকাশ টু ব্যাংক করুন।
- বিভিন্ন বিল বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করুন।
- মোবাইল রিচার্জ ও বিভিন্ন কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশের মাধ্যমে সম্পন্ন করুন।
- বিকাশে ২০০০-৪০০০ টাকা রাখুন।
উপরে উল্লেখিত সকল ধাপ আপনি যদি অনুসরণ করেন তাহলে ৩০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন। এবার তবে বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
ধাপ ১ : বিকাশ অ্যাপে লগইন করুন।
ধাপ ২ : লোন অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: লোন নিন বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪: লোনের লিমিট ১০,০০০ টাকা থাকলে এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন ও শর্তাবলি একনজরে পড়ুুন ও সম্মতি প্রদান করে পিন নম্বর প্রদান করুন।
ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নসমূহ
(১) ব্র্যাক ব্যাংক সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয় ?
উত্তর: ব্রাক ব্যাংক গ্রাহকের লোনের ধরন এর উপর ভিত্তি করে ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে।
(২) ব্র্যাক ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের সুদের হার কত ?
উত্তর: ব্র্যাক ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের সুদের হার ৯ শতাংশ।
(৩) বর্তমানে বিকাশ কত হাজার টাকা সর্বোচ্চ লোন দিয়ে থাকে ?
উত্তর: বর্তমান সময়ে বিকাশ সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে।
শেষ কথা
ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক সমূহের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সর্বাধিক পরিচিত। “আস্থা অবিচল” স্লোগানের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক ২৩ বছর ধরে গ্রাহকের আস্থার প্রতীকে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা ও ব্র্যাক ব্যাংক সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত আকারে জানাতে পেরেছি। ব্র্যাক ব্যাংক সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আপনি আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
3 Comments
আমি অটোরিকশা ভাড়া চালাই আমার কিছু টাকা আছে আর কিছু টাকা লাগবে নতুন গাড়ি কিনবো তাই লোন নিতে হবে
উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ব্যাংকে যোগাযোগ করুন প্রত্যাশা করি লোনটি খুব দ্রুত অনুমোদন হবে।
ভাল লাগলে ফেজবুক পেজ mortgage loan ফলো দিয়ে রাখুন নতুন পোস্ট পড়তে।