সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পর্কে জানেন কি ও সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের কত টাকা দিয়ে থাকে ? সিটি ব্যাংক হতে সিটি ব্যাংকের যেকোনো গ্রাহক ও ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন প্রথম পর্যায়ে।
বাংলাদেশে যে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে সে সকল ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক সর্বাধিক পরিচিত একটি ব্যাংক। গ্রাহকদের বিশ্বাস ও আস্থার উপর নির্ভর করে সিটি ব্যাংক বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে। সিটি ব্যাংক লোন সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে যা গ্রাহকের আর্থিক সচ্ছলতা ধীরে ধীরে উন্নীত হয়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পর্কিত তথ্য জানানোর পাশাপাশি সিটি ব্যাংক লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাবো।
সিটি ব্যাংক পিএলসি
বাংলাদেশের যে সকল বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে যে সকল ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক বর্তমান সময়ে অন্যতম একটি ব্যাংক। ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের যাত্রা শুরু করে।লোনের প্রকারের উপর ভিত্তি করে বর্তমান সময়ে সিটি ব্যাংক ৪ ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। যেমন: সিটি ব্যাংক অটো লোন,সিটি ব্যাংক হোম লোন, সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন, সিটি ব্যাংক।
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের সুবিধা
প্রতিটি ব্যাংকের বিশেষ বিশেষ কিছু লোন রয়েছে যার উপর নির্ভর করে একজন গ্রাহক উক্ত ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় করে ও উক্ত ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের লোন গ্রহণ করে থাকে। সিটি ব্যাংকের ব্যতিক্রম নয়। বর্তমান সময়ে সিটি ব্যাংক ৬ ধরনের বিশেষ লোন প্রদান করে থাকে। এই চার ধরনের বিশেষ লোনের মধ্যে রয়েছে:
- সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- সিটি ব্যাংক হোম লোন
- সিটি ব্যাংক লোন
- সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোন
- স্টুডেন্ট লোন
- সিটি ব্যাংক বাইক লোন
বিভিন্ন চাহিদা সম্পন্ন গ্রাহক অর্থাৎ বিভিন্ন ক্যাটাগরির গ্রাহকগণ সিটি ব্যাংক থেকে উক্ত এই ৬ ধরনের লোন আর অসুবিধা গ্রহন করতে পারবেন। তবে প্রতিটি লোনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে।
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অটো লোন
প্রতি চাকরিজীবীদের একটি স্বপ্ন থাকে সে একটি গাড়ির মালিক হবে। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সিটি ব্যাংক রয়েছে সরকারি চাকরিজীবীদের পাশে। সিটি ব্যাংক থেকে গাড়ি ক্রয় করার সর্বোচ্চ ৫০% টাকা অটো লোন হিসেবে পাওয়া যায়। তবে লোনের পরিমাণ আর ন্যূনতম ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বাধিক ৪০ লাখ টাকা হয়ে থাকে। সিটি ব্যাংকের অটো লোন পরিশোধ করার জন্য সরকারি চাকরিজীবীরা ১২ মাস থেকে ৭২ মাস পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
>>>>>>>>>>>ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা ২০২৪ (সকল লোন সুবিধা)<<<<<<<<<<<<
সিটি ব্যাংক অটো লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক থেকে সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অটো লোন পাওয়ার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে।যেমন:
- সরকারি চাকরিজীবী হলে বা চাকরিজীবী হলে কমপক্ষে ১ বছরের অভিজ্ঞতা ও চাকরির প্রমাণপএ প্রদান করতে হবে।
- ২২ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে যেকোনো গ্রাহক সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
- প্রতি মাসে ন্যূনতম আয়ের পরিমাণ ৪০ হাজার টাকা হতে হবে চাকরির জীবীদের জন্য।
সিটি ব্যাংক অটো লোনের বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংক অটো লোনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন:
- নতুন গাড়ি বা রিকন্ডিশন গাড়ি করার জন্য গ্রাহক গাড়ির মূল্যের ৫০% অর্থ সর্বোচ্চ লোন হিসেবে সিটি ব্যাংকের হতে লোন নিতে পারবেন।
- গাড়ি ক্রয় করার জন্য সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যূনতম ৩ লক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবী অটো লোন সিটি ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন।
- সিটি ব্যাংক থেকে অটো লোন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যূনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬ বছরের মধ্যে লোন পরিশোধ করার সুযোগ পান।
- গোপন কোন চার্জ নেই সিটি ব্যাংকে।
সিটি ব্যাংক অটো লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিটি ব্যাংক লোন হিসেবে অটো লোনের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এ সকল কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি প্রয়োজন হবে লোন আগ্রহী গ্রাহকের।
- গ্রাহকের অফিস আইডি কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে।
- গাড়ির বৈধ তথ্য।
- গ্রাহকের টিন সার্টিফিকেট বা সর্বশেষ ই রিটার্ন প্রদানকৃত তথ্যের প্রমাণপত্র।
- সর্বশেষ প্রধানকৃত ইউটিলিটি বিল (গ্যাস/বিদ্যুৎ/পানি) এর কপি প্রদান করতে হবে।
- যারা চাকুরিজীবীগত ছয় মাসের ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে ও চাকরির পরিচয় পত্র বা বেতনের প্রশংসা পত্র বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বপ্ন পূরণের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। সিটি ব্যাংক লোন থেকে সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন হিসেবে একজন গ্রাহক কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন তবে এই ঋণ পরিশোধের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে একজন সরকারি চাকরিজীবী সময় পান ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের পার্সোনাল লোন পেতে হলে বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে । এ সকল যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকের বয়স অবশ্যই ২২ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- গ্রাহক যদি চাকরিজীবী হয় থাকে সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- মাসিক আয় এর ক্ষেত্রে চাকরিজীবীদের প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা আয় থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিটি ব্যাংক লোন হিসেবে পার্সোনাল লোন সরকারি চাকরিজীবীদের যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা হলো:
- জাতীয় পরিচয় পত্রের আর সত্যায়িত কপি বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- আর পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদনকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- গ্রাহক ও নমিনির বিজনেস কার্ড বা অফিস কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে।
- সর্বশেষ প্রদানকৃত ই-রিটান ডকুমেন্টস ও ই-টিন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- বিদ্যুৎ /পানি /গ্যাস বিলের ফটোকপি প্রদান করতে হবে
- যদি গ্রাহক পূর্বে কোন লোন নিয়ে থাকেন বা লোন চলমান রয়েছে এমন কোন লোন থেকে থাকে তাহলে তার প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে।
- যারা চাকুরিজীবীগত ছয় মাসের ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে ও চাকরির পরিচয় পত্র বা বেতনের প্রশংসা পত্র বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোন
সরকারি চাকরিজীবীদের স্বপ্ন তার একটি সুন্দর বাড়িতে বসবাস করবে। আর সরকারি চাকরিজীবীদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য পাশে রয়েছে সিটি ব্যাংক। সিটি ব্যাংক একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা লোন দিয়ে থাকে। তবে এই লোন পরিশোধের জন্য সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যূনতম ১ বছর থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
সিটি ব্যাংক হোম লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক থেকে হোম লোন পাওয়ার জন্য চাকরিজীবীদের বেশ কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। যেমন:
- গ্রাহকের বয়স কমপক্ষে ২২ বছর থেকে সর্বাধিক ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- গ্রাহক সরকারি চাকরি বা বেসরকারি চাকরি,ব্যবসা কিংবা যে কর্মে নিযুক্ত থাকুক না কেন অবশ্যই উক্ত গ্রাহকের সর্বনিম্ন তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কমপক্ষে মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা হতে হবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোনের বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংকের হোম লোনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এ সকল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহক কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বাধিক এ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হলো না নিতে পারবেন।
- লোন পরিশোধ করার জন্য গ্রাহক ১ বছর থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
- গ্রাহক তার মোট সম্পত্তির মূল্যের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
- কোন লুকানো চার্জ নেই।
সিটি ব্যাংক হোম লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য যে সকল পত্র প্রয়োজন হয় তা অন্য সকল লোনের থেকে পৃথক। যেমন:
- ভূমির মালিকের লিজ চুক্তি/মালিকানা চুক্তি
- ২৫ বছরের জন্য লিজ ভূমির বায়া চুক্তি
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মিউটেশন অনুমতি পত্র
- মিউটেশন প্রস্তাবনা DCR সহ
- সর্বশেষ ভূমি কর রসিদ
- সর্বশেষ NEC/EC
- সর্বশেষ হোল্ডিং কর রসিদ
- ফ্ল্যাট/বাড়ি ক্রয়ের জন্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চুক্তির নথি
- ফ্ল্যাট/বাড়ি ক্রয়ের জন্য বিক্রেতা/ডেভেলপারকে প্রদত্ত অর্থের রসিদ
- যৌথ উদ্যোগ চুক্তি (ডেভেলপার প্রকল্পের জন্য)
- পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (ডেভেলপার প্রকল্পের জন্য)
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিক্রয় অনুমতি পত্র
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি গ্রহণের পত্র
- ভবনের অনুমোদিত লেআউট পরিকল্পনা
- ভবনের নির্মাণ অনুমতি
- গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি প্রয়োজন হবে লোন আগ্রহী গ্রাহকের।
- গ্রাহকের অফিস আইডি কার্ড বা ব্যবসা কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে।
- গাড়ির বৈধ তথ্য।
- গ্রাহকের টিন সার্টিফিকেট বা সর্বশেষ ই রিটার্ন প্রদানকৃত তথ্যের প্রমাণপত্র।
- সর্বশেষ প্রধানকৃত ইউটিলিটি বিল (গ্যাস/বিদ্যুৎ/পানি) এর কপি প্রদান করতে হবে।
- যারা চাকুরিজীবীগত ছয় মাসের ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে ও চাকরির পরিচয় পত্র বা বেতনের প্রশংসা পত্র বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন
সিটি ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করার পাশাপাশি বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তান ও সকল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্টুডেন্ট লোন প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা দেশে কিংবা বিদেশে করার জন্য এই বিশেষ ধরনের লোন প্রদান করা হয়। একজন অভিভাবক তার সন্তানের জন্য স্টুডেন্ট লোন হিসেবে ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন। তবে স্টুডেন্ট লোন পরিশোধ করার জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবক ন্যূনতম ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংকের স্টুডেন্ট লোন বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ সকল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষার্থী তার উচ্চশিক্ষার জন্য ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন।
- লোন পরিষদের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবক ১২ মাস থেকে ৬০ মাস সময় পেয়ে থাকেন।
- সহজ শর্তে স্টুডেন্ট লোন সুবিধা।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক লোন হিসেবে স্টুডেন্ট লোন পাওয়ার জন্য যে সকল যোগ্যতা থাকতে হবে:
- আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ২২ বছর থেকে ৬০ বছর।
- শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অবশ্যই চাকুরীর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- যারা চাকরি করেন তাদের প্রতিমাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা বেতন হতে হবে।
সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তান বা স্টুডেন্ট লোনের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় তার মধ্যে রয়েছে:
- শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয় পত্র ও ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন সদ্য তোলা ছবি।
- শিক্ষার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছেন তার প্রমান পত্র।
- একাডেমিক সার্টিফিকেট।
- বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের আর সত্যায়িত কপি বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- আর পার্সোনাল লোনের জন্য আবেদনকারীর তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে।
- গ্রাহক ও নমিনির বিজনেস কার্ড বা অফিস কার্ড বা ভিজিটিং কার্ড প্রদান করতে হবে।
- সর্বশেষ প্রদানকৃত ই-রিটান ডকুমেন্টস ও ই-টিন সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- বিদ্যুৎ /পানি /গ্যাস বিলের ফটোকপি প্রদান করতে হবে
- যদি গ্রাহক পূর্বে কোন লোন নিয়ে থাকেন বা লোন চলমান রয়েছে এমন কোন লোন থেকে থাকে তাহলে তার প্রমাণ পত্র প্রদান করতে হবে।
- যারা চাকুরিজীবীগত ৬ মাসের ব্যাংক লেনদেনের স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে ও চাকরির পরিচয় পত্র বা বেতনের প্রশংসা পত্র বা পে স্লিপ প্রদান করতে হবে।
সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোন
সরকারী চাকরিজীবীদের এত সামর্থ্য থাকে না তারা নতুন গাড়ি ক্রয় করবে। এক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক অটো লোন প্রদান করার পাশাপাশি সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোন প্রদান করে থাকে তাদের জন্য যারা নতুন গাড়ি ক্রয় করতে সক্ষম নন। সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনের মাধ্যমে গাড়ির মোট মূল্যের ৫০% টাকা সিটি ব্যাংক লোন হিসেবে গ্রাহক নিতে পারবেন। তবে সিটি ব্যাংকের লোন হিসেবে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা গ্রাহক সিটি ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন। তবে সিটি ব্যাংকের লোন পরিশোধ করার জন্য গ্রাহক সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বাধিক ৬ বছর সময় পেয়ে থাকবেন।
সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক লোন হিসেবে সেকেন্ড হ্যান্ড লোন পাওয়ার জন্য বেশ চাকরিজীবীদের অবশ্যই নিন্মক্ত যোগ্যতা সময় থাকতে হবে তাহলো:
- লোন আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই কমপক্ষে ২২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- লোন আবেদনকারী চাকরিজীবী হলেন মাসিক ন্যূনতম আয় ৪০ হাজার টাকা টাকা হতে হবে।
- চাকরিজীবী ও পেশাদার কর্মজীবী(ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফ্রীলান্সার) হলে ন্যূনতম এক বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনের বৈশিষ্ট্য
সিটি ব্যাংক সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন:
- লোন পরিশোধের জন্য গ্রাহক সর্বোচ্চ ৭২ মাস অর্থাৎ ছয় বছর সময় পাবেন।
- গাড়ির দামের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা লোন নিতে পারবেন।
- সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ির লোনের লিমিট ৪০ লাখ টাকা।
- কোন গোপন চার্জ নেই।
সিটি ব্যাংক অটো লোনের জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেকেন্ড হ্যান্ড অটো লোনের জন্য একই কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ে থাকে।

সিটি ব্যাংক স্টুডেন্ট লোন কত ?
ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা স্টুডেন্ট লোন নিতে পারবেন।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কমপক্ষে মাসিক আয় কত হতে হবে ?
সরকারি চাকরিজীবীদের ৩০ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে হবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোন কত দেয় ?
সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যূনতম ১ বছর থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত সময় পেয়ে থাকেন।
শেষ কথা
সরকারি চাকরিজীবীরা আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন কিন্তু আর্থিক আয়ের তারা বর্তমান সময়ে বেশ পিছিয়ে আছেন। সরকারি চাকরিজীবীদের কথা চিন্তা করে সিটি ব্যাংক সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিয়ে এসেছে। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে, সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি।