ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন প্রদানের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণ পাশে রয়েছে সর্বদা। আমাদের অনেকের অনেক চাহিদা রয়েছে ও এই চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজন হয় অর্থের। আবার কখনো কোন বিশেষ কারণে অর্থের প্রয়োজন হয়। আর এই অর্থের চাহিদা মেটানোর জন্য গ্রাহকের পাশে সর্বদা রয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন ও পার্সোনাল লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাবো।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন কি
মানুষের চাহিদা অসীম, প্রতিটি মানুষের মধ্যে কিছু অপ্রাপ্তি রয়েছে যা পূরণে প্রয়োজন হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের। ট্রাস্ট ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের অপূরণীয় অপ্রাপ্তি থেকে মুক্ত করার জন্য নিয়ে এসেছে গ্রাহকদের জন্য পার্সোনাল লোন সুবিধা। মাত্র ৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বাধিকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য ট্রাস্ট ব্যাংক সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বাধিক ৫ বছরের জন্য লোন প্রদান করে। তবে ট্রাস্ট ব্যাংক গ্রাহকদের কিছু বৈধ উদ্দেশ্যে পার্সোনাল লোন প্রদান করে থাকে। যেমন:
- চিকিৎসা খরচ মেটাবার জন্য।
- বাড়ি বা ঘর সংস্কার করার জন্য।
- কম্পিউটার ল্যাপটপ বা ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য।
- ভ্রমণ করার জন্য।
- সন্তানের বিয়ের খরচ মেটাবার জন্য।
- যানবাহনে মেরামত বা নতুন যানবাহন ক্রয়ের উদ্দেশ্যে কিংবা সিএনজি করার জন্য।
এছাড়া অন্যান্য আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য গ্রাহক ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোনের বৈশিষ্ট্য

প্রতিটি ব্যাংকের মতোই ট্রাস্ট ব্যাংকের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্রাহকদের বরাবর আকর্ষিত করে। এ সকল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে:
- কোন লুকানো (হিডেন) চার্জ নেই।
- ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা হতে সর্বাধিক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুবিধা।
- ১২ মাস হতে ৬০ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধা।
- মাসিক কিস্তি আকারের লোন পরিশোধ করার সুবিধা।
- প্রতিযোগিতামূলক সুদের হার।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার যোগ্যতা
ট্রাস্ট ব্যাংক হতে পার্সোনাল লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই উক্ত গ্রাহককে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে নতুবা তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন না। নিম্নে ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোনের জন্য যে সকল যোগ্যতা প্রয়োজন সেসকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে:
- অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ও বাংলাদেশের যেকোনো ৬৪ জেলার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী গ্রাহকের বয়স ন্যূনতম ২৫ বছর হতে হবে ও আবেদন করার জন্য সর্বোচ্চ বয়স ৬৫ বছর।
- যেকোনো বেতনভোগী নির্বাহী ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি সকল চাকরিজীবীরা যাদের প্রতি মাসে পরিমাণ আয় রয়েছে তারা ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে। এক্ষেত্রে লোন নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন মাসিক সর্বনিম্ন বেতন কত টাকা এটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে অবহিত করবেন।
- ব্যবসায়ীরা অবশ্যই ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে উক্ত গ্রাহকের অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে ও মাসিক আয় ট্রাস্ট ব্যাংকের দায়িত্ব ও কর্মকর্তার নিকট প্রদর্শন করতে হবে।
- এছাড়া স্ব-নিযুক্ত পেশাদার রয়েছেন তারা ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন স্ব-নিযুক্ত পেশাদারের মধ্যে রয়েছেন বাড়িওয়ালা, বাড়ির মালিক, ডাক্তার, স্থপতি, প্রকৌশলী, আইনজীবী, পরামর্শদাতা,ফ্রিল্যান্সার)।
আরো জানুন >>>>>> ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি (আপডেট তথ্য) <<<<<<<<
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন যোগ্যতা চাকরিজীবীদের জন্য
ট্রাস্ট ব্যাংক চাকরিজীবী অর্থাৎ বেতনভোগীদের পার্সোনাল লোন প্রদান করে থাকে এক্ষেত্রে যারা বেতনভোগী রয়েছেন তারা পার্সোনাল লোন গ্রহণ করার জন্য তাদের বেশ কিছু শর্তাবলি অনুসরণ করতে হয় এ সকল শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে:
- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ দেওয়ার ন্যূনতম ১ বছর পর ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন।
- বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বনামধন্য যেকোনো সংস্থায় সর্বনিম্ন ২ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন ও পরিষেবার অভিজ্ঞতা ও আবেদন করার সময় অবশ্যই স্থায়ী কর্মী হতে হবে উক্ত সংস্থা।
- আবার কোন অসাধারণ প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী কর্মচারী হিসেবে নূন্যতম ৬ মাসের পরিষেবা অভিজ্ঞতা এবং আবেদন করার সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী ও স্থায়ী কর্মচারী হতে হবে।
আরো জানুন >>>>>> সিটি ব্যাংক লোন সরকারি চাকরিজীবীদের <<<<<<<<
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন যোগ্যতা ব্যবসায়ীদের জন্য
শুধুমাত্র বেতনভোগী বা চাকরিজীবীদের পার্সোনাল লোন প্রদান করে থাকে এমনটা নয় বরং ব্যবসায়ীদের লোন প্রদান করে থাকে ট্রাস্ট ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের যে সকল স্বার্থ বলে অনুসরণ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে:
- একই ব্যবসায় ন্যূনতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।।
- অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে।
- বিগত ৬ মাস কিংবা ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রমাণ করতে হবে।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন যোগ্যতা স্ব-নিযুক্ত পেশাদারদের জন্য
স্ব-নিযুক্ত পেশাদারদের ক্ষেত্রে অবশ্যই উক্ত কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত থাকার ন্যূনতম ২ বছরের অভিজ্ঞতা ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট প্রদর্শন করতে হবে।
পার্সোনাল লোনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ট্রাস্ট ব্যাংক হতে পার্সোনাল লোন গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই উক্ত আবেদনকারীকে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র গ্রাহকের উপর ভিওি করে পৃথক হয়ে থাকে। যেমন; সাধারণ নথিপত্র, বেতনভোগীদের/চাকরিজীবীদের জন্য নথিপত্র, ব্যবসায়ীদের জন্য নথিপত্র, স্ব-নিযুক্ত পেশায় যুক্তদের জন্য নথিপত্র।
প্রয়োজনীয় সাধারণ নথিপত্র:
সাধারণ নথিপত্র সকল ধরনের গ্রাহকদের যেমন চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এ সকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- আবেদনকারী গ্যারান্টার অর্থাৎ জামিন দাতা হিসেবে যিনি থাকবেন তা জাতীয় পরিচয় পত্রের বা পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- সর্বশেষ প্রদানকৃত কর ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট / রিটার্ন / টিন সার্টিফিকেট।
- যে উদ্দেশ্যে গ্রাহক লোন নিতে ইচ্ছুক সে সম্পর্কে বিস্তারিত লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।
- সর্বশেষে প্রদান করা ইউটিলিটি বিল এর কপি (পানি বিল /গ্যাস বিল /বিদ্যুৎ বিল /পৌর কর)
- চাকরিজীবী আবেদনকারীর যদি অফিস আইডি কার্ড এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক কার্ড থাকলে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। গ্যারান্টারের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য।
- চাকরিজীবী ও অন্যান্য পেশার আবেদনাকারীকে সর্বনিম্ন ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে। তবে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে নূন্যতম বারো মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে।
চাকরিজীবী ও স্ব-নিযুক্ত আবেদনকারীর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
সাধারণ নথিপত্র ছাড়াও আরো বেশ কিছু নথিপত্র চাকরিজীবী ও স্ব-নিযুক্ত আবেদনকারীদের প্রয়োজন হয় সকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- পরিচয় পত্র /মূল বেতন সার্টিফিকেট।
- পে স্লিপের ফটোকপি।
- অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় রথি ভদ্র প্রদান করতে হবে যেমন অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য নিয়োগকর্তা কর্তৃক প্রধানকৃত ডকুমেন্ট।
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পেশাগত প্রশংসাপত্র /প্রত্যয়নপত্র।
আরো জানুন >>>>>> কৃষি লোন কিভাবে পাওয়া যায় ? <<<<<<<<
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপএ
সাধারণ নথিপত্র ছাড়াও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু ও নথিপত্র প্রয়োজন হয় এ সকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- ব্যবসা যদি পার্টনারশিপে তাহলে অবশ্যই রেজিস্টার্ড পার্টনারশিপ ডিড এবং পার্টনারশিপ ফর্মের কপি প্রদান করতে হবে।।
- ট্রেড লাইসেন্সের কপি ( একাধিক থেকে থাকলে সর্বশেষ ট্রেড লাইসেন্স এর কপি)।
বাড়িওয়ালাদের জন্য প্রয়োজনে নথিপত্র
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা বাড়ি ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাদের অবশ্যই অসাধারণ নথিপত্রের পাশাপাশি অতিরিক্ত বেশ কিছু নথিপত্র প্রদান করতে হবে। সকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- ভাড়াটিয়াদের সাথে বৈধ চুক্তির ।
- সর্বশেষ গ্রাউন্ড ভাড়ার রসিদ ও পৌর কর রসিদ এর ফটোকপি।
- সর্বশেষ মিউটেশনের ফটোকপি।
- সম্পত্তির শিরোনামের দলিলপত্র।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন সুদের হার
ট্রাস্ট ব্যাংকের পার্সোনাল লোনের সুদের সাধারণত ৯ শতাংশ থেকে সর্বাধিক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে লোনের অর্থ ও অর্থ পরিষদের সময়ের উপর নির্ভর করে।
ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে যেভাবে লোন নিবেন ?
ট্রাস্ট ব্যাংক হতে পার্সোনাল লোন করানোর জন্য অবশ্যই উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আপনার নিকটস্থ ট্রাস্ট ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করুন। আপনার সকল ডকুমেন্ট বিবেচনা করে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা পার্সোনাল লোন প্রদান করবেন।
ট্রাস্ট ব্যাংক সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন সমূহ ?
ট্রাস্ট ব্যাংক বাংলাদেশের কোন ধরনের ব্যাংক ?
ট্রাস্ট ব্যাংক বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংক সমর মধ্যে অন্যতম একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বর্তমানে বাংলাদেশে ট্রাস্ট ব্যাংকের সর্বমোট ১১৮ টি ব্রাঞ্চ রয়েছে যার খুশি হওয়া গ্রাহকের সংখ্যা ১৩,৬৪,৮৯৪ জন।
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন অনলাইন নেওয়ার উপায়?
ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন অনলাইন হতে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই এক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ ট্রাস্ট ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে যোগাযোগ করুন।
ট্রাস্ট ব্যাংক বিবাহ লোন কি পার্সোনাল লোন?
ট্রাস্ট ব্যাংক হতে বিবাহের উদ্দেশ্যে পার্সোনাল লোন নেওয়া যায় তবে বিবাহের জন্য ও ট্রাস্ট ব্যাংকের আলাদা লোন রয়েছে। যা,সর্বাধিক ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায় ও ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় ৬০ মাস। তবে বিবাহের উদ্দেশ্যে লোন গ্রহণ করার জন্য পার্সোনাল লোন সর্বাধিক জনপ্রিয় কারণ পার্সোনাল লোন হতে সর্বাধিক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন সুবিধা পাওয়া যায়।
সারকথা
ট্রাস্ট ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। “সবসময়, সাবধানে,সবার জন্য ” স্লোগান নিয়ে এগিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত। প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে “ট্রাস্ট ব্যাংক পার্সোনাল লোন” সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাতে পেরেছি। তবে ট্রাস্ট ব্যাংকের পার্সোনাল লোন সম্পর্কিত আরো তথ্য জানতে ট্রাস্ট ব্যাংকের হেল্প লাইন নাম্বার ১৬২০১ এ যোগাযোগ করতে পারেন।