বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে কোন কোন ব্যাংক মর্টগেজ লোন দেয় এটি জানেন কী? বাংলাদেশে বেশ কিছু ব্যাংক যারা বর্তমানে মর্টগেজ লোন প্রদান করে। তবে কিছুসংখ্যক গ্রাহক এ সম্পর্কে জানলেও অধিকাংশ গ্রাহক জানেন না মর্টগেজ লোন কী? মর্টগেজ লোন হলো একটি বিশেষ লোন যা সম্পদ বা সম্পত্তির বিপরীতে প্রদান করা হয়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে জানাবো মর্টগেজ লোন কী, কোন কোন ব্যাংক মর্টগেজ লোন দেয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সেহেতু আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মর্টগেজ লোন কি
সাধারণত সম্পত্তি ক্রয় করার জন্য কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংক হতে মর্টগেজ লোন গ্রহণ করা হয়। মর্টগেজ লোনের প্রাথমিক অবস্থায় সম্পত্তির মালিক ব্যাংক হয়ে থাকে ও পরবর্তীতে লোন পরিশোধ করার পরবর্তী সময়ে উক্ত গ্রাহক সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন। তবে, বিশেষ প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া অর্থের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয় সেটি পরিশোধ করা পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি ব্যাংকের হয়ে থাকে । অর্থাৎ যে কাজের জন্য লোন নেওয়া হয় এবং উক্ত লোনের সিকিউরিটি হিসেবে স্থায়ীভাবে সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয় ঋণ পরিশোধ না হওয়া সময় পর্যন্ত।

কোন কোন ব্যাংক মর্টগেজ লোন দেয়
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক) গ্রাহকদের সুবিধার্থে মর্টগেজ সুবিধা প্রদান করছে। যে সকল ব্যাংক মর্টগেজ লোন প্রদান করে তার মধ্যে রয়েছে: রুপালী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ইত্যাদি। নিম্নে বেশ কিছু ব্যাংকের মর্টগেজ লোন সম্পর্কের বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছেঃ
রূপালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন
রূপালী ব্যাংক গ্রাহকের নিকট হতে তার স্থায়ী সম্পদ জামানত হিসেবে রেখে মোট বা স্থায়ী সম্পত্তির বিপরীতে যে স্থায়ী লোন প্রদান করে থাকে তাকে রূপালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন বলা হয়ে থাকে। সাধারণত বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য গ্রাহক ব্যাংকের নিকট থেকে লোন গ্রহণ করে থাকে। রূপালী ব্যাংক গ্রাহকের আস্থার প্রতীক হিসেবে পাশে থাকতে গ্রাহকদের মর্টগেজ লোন প্রদান করছে।
সাধারণত রূপালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন পরিশোধ করার মেয়াদ দীর্ঘ হয়ে থাকে গ্রাহকের চাহিদা ও তার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। তবে রূপালী ব্যাংকের যে কোন গ্রাহক নূন্যতম ৫ বছর থেকে সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পেতে পারেন মর্টগেজ লোনের মাধ্যমে।
সাধারণত মোট জমানত হিসেবে রাখা সম্পত্তির বিপরীতে ৭০% অর্থ ব্যাংক গ্রাহককে লোন হিসেবে প্রদান করে থাকে। তবে রূপালী ব্যাংকের মর্টগেজ লোনের সুদের হার ১২% থেকে ১৫ % পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। তবে সুদের হার ব্যাংক নীতিমালার উপর নির্ভরশীল।
সোনালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন
বাংলাদেশের সরকারি বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংকের নাম সোনালী ব্যাংক। গ্রাহকের আস্থার প্রতীক সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে গ্রাহকের বিভিন্ন প্রয়োজনে। তবে সোনালী ব্যাংকের বিশেষ একটি ঋণ সুবিধা হচ্ছে,মর্টগেজ লোন। গ্রাহক তার মোট সম্পত্তির বিপরীতে সোনালী ব্যাংক হতে ৭০% অর্থ ঋণ নিতে পারবেন।
আরো জানুন >>>>>> সোনালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন (আপডেট তথ্য) <<<<<<<<
ইসলামি ব্যাংক মর্টগেজ লোন
বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে গ্রাহকেদের অন্যান্য সেবা প্রদান করার পাশাপাশি গ্রাহকদের মর্টগেজ লোন প্রদান করে থাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য।
ইসলামি ব্যাংক গ্রাহকদের মোট সম্পত্তির বিপরীতে যে আর্থিক সহয়তা বা লোন প্রদান করে তা ইসলামি ব্যাংক মর্টগেজ হিসেবে পরিচিত। ইসলামি ব্যাংক গ্রাফদের সহজ শর্তে মর্টগেজ লোন প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ করার জন্য ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা নূন্যতম ৫ বছর হতে সর্বাধিক ২০ বছর সময় পেয়ে থাকেন যা লোন পরিশোধ করার জন্য উত্তম সময় হিসেবে বিবেচিত। তবে ঋণ পরিশোধ করার মেয়াদ সম্পূর্ণ নির্ভর করে গ্রাহকের মূল ঋণ এর অর্থ ও গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতার উপর।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা ব্যাংকের নীতিমালা অনুসারে মোট সম্পত্তির বিপরীতে ব্যাংক নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত % (শতাংশ) অর্থ লোন পেয়ে থাকেন। তবে মূল অর্থের সাথে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংককে ইন্টারেস্ট সহ গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
আরো জানুন >>>>>> ইসলামী ব্যাংক হোম লোন পদ্ধতি (আপডেট তথ্য)<<<<<<<<
কৃষি ব্যাংক মর্টগেজ লোন
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের মতো কৃষি ব্যাংক গ্রাহকের সুবিধার্থে মর্টগেজ লোন প্রদান করে থাকে যা গ্রাহকদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম ও বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক হতে গ্রাহকেরা অন্যান্য লোন গ্রহণ করার পাশাপাশি বর্তমানে মোট সম্পত্তির বিপরীতে লোন গ্রহণ করতে পারছেন কৃষি ব্যাংক মর্টগেজ লোন হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত।
কৃষি ব্যাংক মর্টগেজ লোন সাধারণত গ্রাহকের চাহিদা পূরণের জন্য সম্পত্তির বিপরীতে প্রদান করা হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য যা সাধারণত নূন্যতম ৫ বছর হতে সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় প্রদান করে থাকে যার সুদের হার সাধারণত ১১ শতাংশ থেকে সর্বাধিক ১৪ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে সুদের হার সম্পন্ন নির্ভর করে ব্যাংকের নীতিমালার ওপর। ব্যাংকের নীতিমালা পরিবর্তিত হলে সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে।
পূর্বালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন
পূর্বালী ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের অন্যতম একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক যারা সকল ধরনের লোন সুবিধার পাশাপাশি মর্টগেজ লোন প্রদান করে। গ্রাহক তার মোট সম্পত্তির বিপরীতে মোট ৭০% অর্থ পূবালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন তবে ২ কোটি টাকার অধিক নয়। গ্রাহক ও ঋণ পরিশোধ করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছর সময় পেয়ে থাকেন পূবালী ব্যাংকে। এছাড়া গ্রাহক যদি চান সেক্ষেত্রে দ্রুত ঋণ পরিশোধের মেয়াদ কমিয়ে আনতে পারেন,তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে গ্রাহকের মোট চাহিদা ও ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতার উপর।
ডাচ বাংলা ব্যাংক মর্টগেজ লোন
বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলির মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যতম একটি ব্যাংক। ডাচ বাংলা ব্যাংক ও অন্যান্য সকল ধরনের ঋণ সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি গ্রাহকদের অন্যতম যে সেবাটি প্রদান করে সেটি হচ্ছে মর্টগেজ লোন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে গ্রাহক তার চাহিদা অনুসারে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য ঋণ সুবিধা পান।
মর্টগেজ লোনের জন্য নথিপত্র
মর্টগেজ লোনের জন্য বেশ কিছু নথিপত্র প্রয়োজন রয়েছে। এসকল নথিপত্র এর মাধ্যমে চাকরিজীবী,ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী, সম্পত্তির মালিক ও বাড়িওয়ালারা মর্টগেজ লোন নিতে পারবেন। এসকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- আবেদনকারী গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ঠিকানা যাচাই করার জন্য ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি প্রদান করতে হবে। অবশ্যই স্পষ্ট ও সদ্য কপি হতে হবে।
- বিগত অর্থ বছরের ব গত ১ বছরের ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
- বিগত ১ বছরের অর্থাৎ ১২ মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।
- আবেদনকারী গ্রাহক যে সম্পত্তি ব্যাংকে জমা রাখবেন অবশেষে উক্ত সম্পদের দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। তবে সম্পত্তির যদি বন্ধক যোগ্য না হয় সেক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি কিংবা গহনা হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই মালিকানা প্রমাণপত্র সহ প্রদান করতে হবে।
- অবশ্যই একজন আপনার জামিনদারের প্রয়োজন হবে। জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের এক কপি সদ্য তোলা ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের স্পষ্ট অনুলিপি প্রদান করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন হয় এ সকল নথিপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- বিগত ৩ বছরের ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স।
- গত ১২ মাসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের স্টেটমেন্ট।
- অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই অংশীদারি চুক্তিপত্র প্রদান করতে হবে।
চাকরিজীবীদের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
চাকরিজীবীদের জন্য যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন হবে তার মধ্যে রয়েছে:
- স্যালারি সার্টিফিকেট।
- অফিস আইডি কার্ড ইত্যাদি।
এছাড়া আর কোন নথিপত্র প্রয়োজন হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন।
মর্টগেজ লোন পেতে কত সময় লাগে
ব্যাংকের অন্যান্য লোন থেকে মর্টগেজ লোন পেতে সাধারণত একটু বিলম্ব হয়। সাধারণত ৩০তম কর্ম দিবস থেকে ৬০ তম কর্ম দিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন পাওয়া যায়। তবে ব্যাংকের নীতিমালা কার্যক্রম প্রভৃতি ভেদে সময়ের পার্থক্য দেখা যায়।
সাধারণত অনেক সময় জমানত হিসেবে যে সম্পত্তি বা সম্পদ রাখা হয় তার মালিকানা প্রমাণে ও নানা জটিলতা কারণে অনুমোদন পেতে দেরি হয় আবার কখনো কখনো কাগজপত্রে ভুল থাকার কারণে মর্টগেজ লোন পেতে বিলম্ব দেখা দেয়।
তবে সঠিক নথিপত্র ও জামানত হিসেবে যে সম্পদ বা সম্পত্তি রাখবেন তার সকল তথ্য সঠিক প্রদান করুন ফলে কিছুদিনের মধ্যেই মটগের্জ লোনের উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন।
মর্টগেজ লোনের সুদের হার
সাধারণত ব্যাংক নীতিমালার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ লোনের সুদের হারের পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মর্টগেজ লোনের সুদের হার ১১% হতে ১৫% এর মধ্যে। অবশ্যই মর্টগেজ লোন নেওয়ার পূর্বে ব্যাংক হতে সুদের হার জেনে নিবেন।
আরো জানুন >>>>>> ইসলামী ব্যাংক কার লোন বা গাড়ি ঋণ যেভাবে নিবেন ২০২৫ <<<<<<<<
মর্টগেজ লোনের অনুমোদনের জন্য ব্যাংক যা যাচাই-বাছাই করে থাকে
বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক হতে মর্টগেজ লোন নেওয়ার আবেদন করার পরবর্তী পর্যায়ে লোন অনুমোদন করার পূর্বে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন ও লোনের উপযুক্ত হলে মর্টগেজ লোনটি অনুমোদন করে থাকেন। এসকল যাচাই-বাছাই এর মধ্যে রয়েছে:
- গ্রাহকের বর্তমান অবস্থা ও পেশা।
- আবেদনকারী গ্রাহকের প্রতি মাসে ন্যূনতম মাসিক আয় কত টাকা।
- আবেদনকারী যদি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার বর্তমান ব্যবসার অবস্থা ব্যাংক পর্যালোচনা করেন।
- আবেদনকারী যদি চাকুরী করে থাকেন এক্ষেত্রে চাকরি সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে থাকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলি।
- গ্রাহকের পূর্বে কোন অপরিচিত লোন রয়েছে কিনা এটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাচাই করেন।
মর্টগেজ লোন নেওয়ার সুবিধা ও অসুবিধা
মর্টগেজ লোন মূলত মোট সম্পত্তির বিপরীতে লোন প্রদান করে থাকে গ্রাহকদের। এক্ষেত্রে লোন পেতে গ্রাহকদের সম্পত্তি বিক্রি করার প্রয়োজন হয় না। ব্যাংক হতে লোন নেওয়ার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সম্পত্তির মালিক হিসেবে বিবেচিত হন ও লোন পরিশোধ হলে গ্রাহক পুনরায় মালিক হিসেবে বিবেচিত হন। তবে বিনা কারণে মর্টগেজ লোন গ্রহণ করে তা সময় মতো পরিশোধ না করতে পারলে সম্পত্তির মালিক চিরস্থায়ীভাবেব্যাংক হয়ে থাকে। সেহেতু লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিবেচনা করুন আপনার লোন কেন প্রয়োজন ও লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে কিনা।
মর্টগেজ লোন সম্পর্কিত বহুল প্রশ্নসমূহ
মর্টগেজ লোনের সুদের হার কত ?
বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকের মর্টগেজ লোনের সুদের হার ১১% হতে ১৫% এর মধ্যে
মর্টগেজ লোন কি ?
বিশেষ প্রয়োজনে ঋণ নেওয়া অর্থের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয় সেটি পরিশোধ করা পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি ব্যাংকের হয়ে থাকে
মর্টগেজ লোন পেতে কত সময় লাগে ?
সাধারণত ৩০তম কর্ম দিবস থেকে ৬০ তম কর্ম দিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক মর্টগেজ লোন পাওয়া যায়
সারকথা
মানুষ তার বিশেষ প্রয়োজনে অর্থ সংগ্রহ করতে তার সম্পদ বিক্রি করে থাকেন, তবে গ্রাহকের যদি লোন পরিশোধ করার ক্ষমতা থাকে তাদের সম্পদ বিক্রি করা উচিত নয় বরং ব্যাংক হতে মর্টগেজ লোনের মাধ্যমে তার প্রয়োজন মেটানো। বাংলাদেশের সকল ব্যাংক গ্রাহককে সেবা প্রদানে তাদের পাশে রয়েছে সর্বদা।